, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো ভিলেজে আগুন পর্যবেক্ষণে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ডিজি। সাভারে তাজ খান নাঈমের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ—জনসচেতনতায় সাড়া ফেলেছে অনন্য সাইনবোর্ড প্রচারণা সাভারের নতুন ইউএনও মাহবুবুর রহমানকে ঘিরে বিতর্ক। আশুলিয়ায় শিপ্লাঞ্চল এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ৩ আশুলিয়া ডিওএইচএস আবাসিক এলাকা থেকে সাদ হত্যা মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আটক ৫ অবশেষে বাবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চাকুরী পাওয়া সাভারের আলোচিত ইউএনও আবু বক্কর সরকারের বদলি। সাভারে হানি ট্রাপের শিকার ভিকটিম উদ্ধার,ঘটনায় জড়িত নারীসহ আটক ৪ ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদল সভাপতির পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন। সাভারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫। সাভার বিআরটিএ-তে অফিস সহকারী মাকসুদা সুলতানার বিরুদ্ধে জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স বাণিজ্যের অভিযোগ।

অবশেষে বাবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চাকুরী পাওয়া সাভারের আলোচিত ইউএনও আবু বক্কর সরকারের বদলি।

মোজাম্মেল হোসেন রাতুল(এডিটর)
ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আলোচিত বাবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চাকুরী পাওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)আবু বকর সরকারকে বদলি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।গত ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে—জনাব আবু বকর সরকার (২০৭০২),উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাভার,ঢাকাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত করে চট্টগ্রাম বিভাগে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ন্যস্ত করা হলো। সেখানে তিনি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।আগামী ৭ই অক্টোবর ২০২৫ইং তারিখের মধ্যে তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হতে বলা হয়েছে।অন্যথায় ওইদিন বিকেল থেকেই তাৎক্ষণিকভাবে স্ট্যান্ড রিলিজ বলে গণ্য হবেন।এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)আবু বকর সরকারের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে।দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)এছাড়াও জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে উপ- পরিচালক(অনুসন্ধান ও তদন্ত-১)মোহাম্মদ খাইরুল হক স্বাক্ষরিত ১৭ই সেপ্টেম্বরের এক পত্রে অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।একটি সূত্র জানায় ,আবু বকর সরকারের বিরুদ্ধে জমা পড়া অভিযোগপত্রটি ১৯ পৃষ্ঠার।অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—তার বাবার বিতর্কিত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে ইকোনমিক ক্যাডারে চাকরি পাওয়া,এছাড়া সাভারের দক্ষিণ দরিয়াপুর মৌজায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকার মূল্যমানের জমি জাল দলিলের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া,সাভার পৌরসভায় প্রশাসক থাকা অবস্থায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অনিয়ম,ইউনিয়ন পরিষদের ১ শতাংশ কাজেও দুর্নীতির অভিযোগসহ আরো অনেক রয়েছে।এমনকি তার বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হওয়া নিয়েও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।তবে দুর্নীতিবাজ সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)আবু বক্কর সরকারকে বদলি করাতে জানা পূবাইল খিলগাঁও এলাকায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিয়ে আসে,এবং তাকে দ্রুত সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দাবিও জানান।তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেন,আবু বকর সরকারের পিতা আব্দুর রউফ সরকার কখনো মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি।ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেত্রী মেহরুন আফরোজ চুমকির সহায়তায় তিনি মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হন।পরে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল তার সনদ বাতিল করে।এদিকে এ অভিযোগের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনাও সামনে এসেছে।আনন্দ টিভির সাংবাদিক শাকিলকে তার ভাই সোলেমান সরকার সংবাদ সংগ্রহের সময় হেনস্তা করেন এবং ইউএনও নিজেও সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে‘চাঁদাবাজ’আখ্যা দেন।এ নিয়ে গাজীপুরের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।সব মিলিয়ে নানান অনিয়ম,দুর্নীতি ও অভিযোগের মুখে আলোচিত ইউএনও আবু বকর সরকারকে সাভার থেকে সরিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগে বদলি করা হয়েছে।তবে পরবর্তীতে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন পূবাইল খিলগাঁও এলাকাবাসী ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা,দুর্নীতি দমন কমিশনের চলমান অনুসন্ধানে প্রতিবেদন তার ভাগ্যে কী সিদ্ধান্ত আসে।তাছাড়া একজন দুর্নীতিবাজ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চাকুরী বহাল থাকায় এলাকাবাসীর মাঝে এখোনও খোভ বিরাজ করছে।এদিকে বাবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হলেও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পাওয়া চাকুরীতে বহাল আছেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)আবু বক্কর সরকার।বিগত সময় বিএসএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায়’ প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পান আবু বকর সরকার।ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ধরা পড়ে চার বছর আগে বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হয়ে গেলেও সরকারী চাকরিতে রয়েছেন ছেলে।অতীতে আওয়ামী পরিবারের লোক পরিচয়ে নানা সুবিধা নিয়েছেন আবু বকর সরকার।তবে ৫ই আগষ্টের পর গত বছরের ৮ই সেপ্টেম্বর বঞ্চিত কর্মকর্তা’পরিচয়ে বাগিয়ে নেন ঢাকার সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদ।আবু বকর সরকার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের খিলগাঁও এলাকার মো: আবদুর রউফ সরকারের ছেলে।এবিষয়ে সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে,গত ২০১২ইং সালে মুক্তিযোদ্ধা গেজেট তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্ত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন মোঃ আবু বকরের বাবা রউফ সরকার।ওই বছরের ১২ই ফেব্রুয়ারি গাজীপুর ৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং মহিলা ও শিশু-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মেহরুন আফরোজ চুমকি মাধ্যমে তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর কাছে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় রউফ সরকারের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি ডিও লেটার দেন।যে ডিও লেটারে চুমকি সুপারিশ করে স্পষ্ট করে লিখেন’আবদুর রউফ সরকার ১৯৭১ইং সালে মহান স্বাধীণতা যুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীণতা সংগ্রামে সংক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেন।তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।ভুলবশত তার নাম গেজেটভুক্ত হয়নি।তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী। তার নাম গেজেটভুক্ত করার জন্য জোর সুপারিশ করছি।বেগম মেহরুন আফরোজ চুমকির ডিও লেটারের পর তড়িৎগতি পায় রউফ সরকারের আবেদন।পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম (অবঃ)রউফ সরকারের আবেদনটি সভায় পেশ করার জন্য ২৮শে মার্চ জামুকার ডিজিকে একটি লিখিত নোট দেন।এছাড়া গত ২০১৩ইং সালে আবদুর রউফ সরকারের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়।এদিকে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গত ২০১৭ইং সালে ৩ই আগষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটায় রউফ সরকারের ছেলে মোঃ আবু বকর সরকার ‘কে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ইকনমিক)ক্যাডারে সহকারী প্রধান পদে নিয়োগ দেন।নিয়োগপত্রের শর্তে উল্লেখ করা হয়’মুক্তি যোদ্ধা সনদ যাচাই বাছাই কালে মিথ্যা বা জাল প্রমাণতি হলে নিয়োগ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় রউফ সরকারের নাম দেখে এবং ভাতা গ্রহণ করার বিষয়টি জানাজানি হলে গাজীপুর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ব্যাপক খোভের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।পরবর্তীতে পূবাইলসহ গাজীপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের আপত্তির প্রেক্ষিতে সরকারের একাধিত তদন্তে প্রমাণিত হয় রউফ সরকার একজন’ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ২০২১ইং সালের ১১ই আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে রউফ সরকারের নাম বাতিল করেন।এ প্রসঙ্গে পূবাইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুস সামাদ বলেন,যখন দেখলাম আব্দুর রউফ সরকার নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন এবং এলাকায় মুক্তিযোদ্ধার লোগো লাগিয়ে ঘুরাফেরা শুরু করেছে।তখন থেকে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলো।১৯৭১ইং সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছি।অথচ নিজেকে আওয়ামী লীগ দাবি করা আব্দুর রউফ সরকার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে তৎকালীন সাবেক সংসদ সদস্য এবং মহিলা ও শিশু-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মেহের আফরোজ চুমকির সুপারিশে কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় রউফ সরকারের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তা আমরা জানি না।তাই আমরা পুবাইল সহ গাজীপুরের মুক্তিযোদ্ধারা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধাকাউন্সিলে রূপ সরকারকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য সাক্ষী দিয়ে আসি।পরবর্তীতে ২০২১ইং সালে রউফ সরকারের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। দুঃখের বিষয় বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হলেও মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি নেওয়া ছেলে চাকরিতে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে।সে বর্তমানে সাভার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি একজন মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে আবেদন যত দূর সম্ভব আবু বকর সরকারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে জালজালিয়াতের অভিযোগের শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোরদাবি করেন। এদিকে পূবাইলের খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা মোঃ সালাউদ্দিন সরকার বলেন, আবু বকর সরকার কিভাবে একজন বিসিএস অফিসার হলো তা আমার বোধগম্য নয়।সে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ক্ষমতার দাপটে জোরপূর্বক জবরদখল করে।তাতে আমি বাধা দিলে সে তৎকালীন ডিআইজি ঢাকা মহানগর ডিবির প্রধানহাফিজুর রহমান(আবু বকরের মামা)প্রভাব খাটিয়ে আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে।শুধু তাই নয় আবু বকর সরকার বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের কিছু অসৎ অফিসারের মাধ্যমে ঘুষের বিনিময়ে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং অবৈধ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণও করেছেন।এমন কি সে খিলগাও এ সরকারি হালটের জমি দখল করে নিজের বাড়ির আঙিনা হিসেবে ব্যবহার করছে ।সে এলাকার আওয়ামী লীগ,শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগের পদধারী নেতাদেরকে তার এই সমস্ত অসৎ কাজে ব্যবহার করেছে।তার বাবা আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত বলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সুপারিশ করেছে।তার বাবা আব্দুর রউফ সরকার এক সময়ে বাটা সু কোম্পানিতে সামান্য বেতনে চাকরি করতো,সে কখনোই মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহণ করে নাই,শুধুমাত্র তার ছেলেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্যই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করান।যার ফলে আমি এবং জনৈক নূর মোহাম্মাদ কাজী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধাকাউন্সিলে অভিযোগ দায়ের করি রউফ সরকারের বিরুদ্ধে।জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল যাচাই-বাছাই শুনানি সাক্ষী সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আব্দুর রউফ সরকারেরমুক্তিযোদ্ধ সনদ বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করে। যখন দেখলাম আব্দুর রউফ সরকারের ছেলে আবু বকর সরকার সরকারি চাকুরীতে বহাল রয়েছে তখন পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবু বকর সরকার কে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য পুনরায় অভিযোগ করা হয়।কিন্তু নিজের মুক্তিযোদ্ধা সনদ টেকাতে বাদী হয়ে আব্দুর রউফ সরকার মামলা দায়ের করেন।মামলা নং ৬১৩৮/২০২১।মামলায় বিবাদী হন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। মামলার সর্বশেষ শুনানির দিন ধার্য ছিল ০৪/০১/২০২৩ ইং তারিখে।মামলার সর্বশেষ রায় দেন বিচারপতি মাহমুদুল হক ও মাহমুদ হাসান তালুকদার ।এরপর ওই মামলার রায়ের বিপরীতে সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগের কোন আপিল করেন নাই আব্দুর রউফ সরকার।এতসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বকর সরকার বলেন, এগুলো সব মিথ্যা,বানোয়াট,আপনি সময় করে সাভার আমার অফিসে আসেন অথবা আমার বাড়িতে ঘুরে আসেন।তিনি আরও বলেন,পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।এদিকে আবু বক্কর সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনলাইন ভার্সনে সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বকর সরকার।উপরমহল থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল থেকে ফোনের পর ফোন আসে পত্রিকার কর্তৃপক্ষের কাছে। প্রতিনিয়ত এভাবে বিভিন্ন মহল থেকে ফোন করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদটিকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে দাবী বেশ কয়েকটি জাতীয় প্রিন্ট ও অনলাইন ভার্সন গণমাধ্যম কর্মীদের।

বাংলাদেশ সময়:০২:০০ মিনিট
৬ই অক্টোবর ২০২৫ইং
এসএসইএম:

জনপ্রিয়

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো ভিলেজে আগুন পর্যবেক্ষণে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ডিজি।

অবশেষে বাবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চাকুরী পাওয়া সাভারের আলোচিত ইউএনও আবু বক্কর সরকারের বদলি।

প্রকাশের সময় : ০২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

মোজাম্মেল হোসেন রাতুল(এডিটর)
ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আলোচিত বাবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চাকুরী পাওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)আবু বকর সরকারকে বদলি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।গত ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে—জনাব আবু বকর সরকার (২০৭০২),উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাভার,ঢাকাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত করে চট্টগ্রাম বিভাগে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ন্যস্ত করা হলো। সেখানে তিনি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।আগামী ৭ই অক্টোবর ২০২৫ইং তারিখের মধ্যে তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হতে বলা হয়েছে।অন্যথায় ওইদিন বিকেল থেকেই তাৎক্ষণিকভাবে স্ট্যান্ড রিলিজ বলে গণ্য হবেন।এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)আবু বকর সরকারের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে।দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)এছাড়াও জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে উপ- পরিচালক(অনুসন্ধান ও তদন্ত-১)মোহাম্মদ খাইরুল হক স্বাক্ষরিত ১৭ই সেপ্টেম্বরের এক পত্রে অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।একটি সূত্র জানায় ,আবু বকর সরকারের বিরুদ্ধে জমা পড়া অভিযোগপত্রটি ১৯ পৃষ্ঠার।অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—তার বাবার বিতর্কিত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে ইকোনমিক ক্যাডারে চাকরি পাওয়া,এছাড়া সাভারের দক্ষিণ দরিয়াপুর মৌজায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকার মূল্যমানের জমি জাল দলিলের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া,সাভার পৌরসভায় প্রশাসক থাকা অবস্থায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অনিয়ম,ইউনিয়ন পরিষদের ১ শতাংশ কাজেও দুর্নীতির অভিযোগসহ আরো অনেক রয়েছে।এমনকি তার বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হওয়া নিয়েও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।তবে দুর্নীতিবাজ সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)আবু বক্কর সরকারকে বদলি করাতে জানা পূবাইল খিলগাঁও এলাকায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিয়ে আসে,এবং তাকে দ্রুত সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দাবিও জানান।তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেন,আবু বকর সরকারের পিতা আব্দুর রউফ সরকার কখনো মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি।ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেত্রী মেহরুন আফরোজ চুমকির সহায়তায় তিনি মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হন।পরে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল তার সনদ বাতিল করে।এদিকে এ অভিযোগের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনাও সামনে এসেছে।আনন্দ টিভির সাংবাদিক শাকিলকে তার ভাই সোলেমান সরকার সংবাদ সংগ্রহের সময় হেনস্তা করেন এবং ইউএনও নিজেও সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে‘চাঁদাবাজ’আখ্যা দেন।এ নিয়ে গাজীপুরের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।সব মিলিয়ে নানান অনিয়ম,দুর্নীতি ও অভিযোগের মুখে আলোচিত ইউএনও আবু বকর সরকারকে সাভার থেকে সরিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগে বদলি করা হয়েছে।তবে পরবর্তীতে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন পূবাইল খিলগাঁও এলাকাবাসী ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা,দুর্নীতি দমন কমিশনের চলমান অনুসন্ধানে প্রতিবেদন তার ভাগ্যে কী সিদ্ধান্ত আসে।তাছাড়া একজন দুর্নীতিবাজ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চাকুরী বহাল থাকায় এলাকাবাসীর মাঝে এখোনও খোভ বিরাজ করছে।এদিকে বাবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হলেও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পাওয়া চাকুরীতে বহাল আছেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)আবু বক্কর সরকার।বিগত সময় বিএসএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায়’ প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পান আবু বকর সরকার।ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ধরা পড়ে চার বছর আগে বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হয়ে গেলেও সরকারী চাকরিতে রয়েছেন ছেলে।অতীতে আওয়ামী পরিবারের লোক পরিচয়ে নানা সুবিধা নিয়েছেন আবু বকর সরকার।তবে ৫ই আগষ্টের পর গত বছরের ৮ই সেপ্টেম্বর বঞ্চিত কর্মকর্তা’পরিচয়ে বাগিয়ে নেন ঢাকার সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদ।আবু বকর সরকার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের খিলগাঁও এলাকার মো: আবদুর রউফ সরকারের ছেলে।এবিষয়ে সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে,গত ২০১২ইং সালে মুক্তিযোদ্ধা গেজেট তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্ত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন মোঃ আবু বকরের বাবা রউফ সরকার।ওই বছরের ১২ই ফেব্রুয়ারি গাজীপুর ৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং মহিলা ও শিশু-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মেহরুন আফরোজ চুমকি মাধ্যমে তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর কাছে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় রউফ সরকারের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি ডিও লেটার দেন।যে ডিও লেটারে চুমকি সুপারিশ করে স্পষ্ট করে লিখেন’আবদুর রউফ সরকার ১৯৭১ইং সালে মহান স্বাধীণতা যুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীণতা সংগ্রামে সংক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেন।তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।ভুলবশত তার নাম গেজেটভুক্ত হয়নি।তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী। তার নাম গেজেটভুক্ত করার জন্য জোর সুপারিশ করছি।বেগম মেহরুন আফরোজ চুমকির ডিও লেটারের পর তড়িৎগতি পায় রউফ সরকারের আবেদন।পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম (অবঃ)রউফ সরকারের আবেদনটি সভায় পেশ করার জন্য ২৮শে মার্চ জামুকার ডিজিকে একটি লিখিত নোট দেন।এছাড়া গত ২০১৩ইং সালে আবদুর রউফ সরকারের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়।এদিকে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গত ২০১৭ইং সালে ৩ই আগষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটায় রউফ সরকারের ছেলে মোঃ আবু বকর সরকার ‘কে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ইকনমিক)ক্যাডারে সহকারী প্রধান পদে নিয়োগ দেন।নিয়োগপত্রের শর্তে উল্লেখ করা হয়’মুক্তি যোদ্ধা সনদ যাচাই বাছাই কালে মিথ্যা বা জাল প্রমাণতি হলে নিয়োগ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় রউফ সরকারের নাম দেখে এবং ভাতা গ্রহণ করার বিষয়টি জানাজানি হলে গাজীপুর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ব্যাপক খোভের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।পরবর্তীতে পূবাইলসহ গাজীপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের আপত্তির প্রেক্ষিতে সরকারের একাধিত তদন্তে প্রমাণিত হয় রউফ সরকার একজন’ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ২০২১ইং সালের ১১ই আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে রউফ সরকারের নাম বাতিল করেন।এ প্রসঙ্গে পূবাইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুস সামাদ বলেন,যখন দেখলাম আব্দুর রউফ সরকার নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন এবং এলাকায় মুক্তিযোদ্ধার লোগো লাগিয়ে ঘুরাফেরা শুরু করেছে।তখন থেকে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলো।১৯৭১ইং সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছি।অথচ নিজেকে আওয়ামী লীগ দাবি করা আব্দুর রউফ সরকার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে তৎকালীন সাবেক সংসদ সদস্য এবং মহিলা ও শিশু-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মেহের আফরোজ চুমকির সুপারিশে কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় রউফ সরকারের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তা আমরা জানি না।তাই আমরা পুবাইল সহ গাজীপুরের মুক্তিযোদ্ধারা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধাকাউন্সিলে রূপ সরকারকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য সাক্ষী দিয়ে আসি।পরবর্তীতে ২০২১ইং সালে রউফ সরকারের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। দুঃখের বিষয় বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হলেও মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি নেওয়া ছেলে চাকরিতে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে।সে বর্তমানে সাভার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি একজন মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে আবেদন যত দূর সম্ভব আবু বকর সরকারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে জালজালিয়াতের অভিযোগের শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোরদাবি করেন। এদিকে পূবাইলের খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা মোঃ সালাউদ্দিন সরকার বলেন, আবু বকর সরকার কিভাবে একজন বিসিএস অফিসার হলো তা আমার বোধগম্য নয়।সে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ক্ষমতার দাপটে জোরপূর্বক জবরদখল করে।তাতে আমি বাধা দিলে সে তৎকালীন ডিআইজি ঢাকা মহানগর ডিবির প্রধানহাফিজুর রহমান(আবু বকরের মামা)প্রভাব খাটিয়ে আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে।শুধু তাই নয় আবু বকর সরকার বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের কিছু অসৎ অফিসারের মাধ্যমে ঘুষের বিনিময়ে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং অবৈধ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণও করেছেন।এমন কি সে খিলগাও এ সরকারি হালটের জমি দখল করে নিজের বাড়ির আঙিনা হিসেবে ব্যবহার করছে ।সে এলাকার আওয়ামী লীগ,শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগের পদধারী নেতাদেরকে তার এই সমস্ত অসৎ কাজে ব্যবহার করেছে।তার বাবা আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত বলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সুপারিশ করেছে।তার বাবা আব্দুর রউফ সরকার এক সময়ে বাটা সু কোম্পানিতে সামান্য বেতনে চাকরি করতো,সে কখনোই মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহণ করে নাই,শুধুমাত্র তার ছেলেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্যই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করান।যার ফলে আমি এবং জনৈক নূর মোহাম্মাদ কাজী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধাকাউন্সিলে অভিযোগ দায়ের করি রউফ সরকারের বিরুদ্ধে।জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল যাচাই-বাছাই শুনানি সাক্ষী সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আব্দুর রউফ সরকারেরমুক্তিযোদ্ধ সনদ বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করে। যখন দেখলাম আব্দুর রউফ সরকারের ছেলে আবু বকর সরকার সরকারি চাকুরীতে বহাল রয়েছে তখন পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবু বকর সরকার কে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য পুনরায় অভিযোগ করা হয়।কিন্তু নিজের মুক্তিযোদ্ধা সনদ টেকাতে বাদী হয়ে আব্দুর রউফ সরকার মামলা দায়ের করেন।মামলা নং ৬১৩৮/২০২১।মামলায় বিবাদী হন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। মামলার সর্বশেষ শুনানির দিন ধার্য ছিল ০৪/০১/২০২৩ ইং তারিখে।মামলার সর্বশেষ রায় দেন বিচারপতি মাহমুদুল হক ও মাহমুদ হাসান তালুকদার ।এরপর ওই মামলার রায়ের বিপরীতে সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগের কোন আপিল করেন নাই আব্দুর রউফ সরকার।এতসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বকর সরকার বলেন, এগুলো সব মিথ্যা,বানোয়াট,আপনি সময় করে সাভার আমার অফিসে আসেন অথবা আমার বাড়িতে ঘুরে আসেন।তিনি আরও বলেন,পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।এদিকে আবু বক্কর সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনলাইন ভার্সনে সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বকর সরকার।উপরমহল থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল থেকে ফোনের পর ফোন আসে পত্রিকার কর্তৃপক্ষের কাছে। প্রতিনিয়ত এভাবে বিভিন্ন মহল থেকে ফোন করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদটিকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে দাবী বেশ কয়েকটি জাতীয় প্রিন্ট ও অনলাইন ভার্সন গণমাধ্যম কর্মীদের।

বাংলাদেশ সময়:০২:০০ মিনিট
৬ই অক্টোবর ২০২৫ইং
এসএসইএম: