
আশুলিয়া প্রতিনিধিঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ধামরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাদ্দেস হোসেনসহ আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগের ৫ নেতাকে আটক করেছেন পুলিশ।মঙ্গলবার(৭ই অক্টোবর ২০২৫ইং)ভোর রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃ মনিরুল ইসলাম।এর আগে,গত ৬ই অক্টোবর সোমবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১০ ঘটিকার দিকে সাভারের নবীনগরের ডিওএইচএস আবাসিক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।আটক কৃতরা,ঢাকার ধামরাইয় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাদ্দেস হোসেন(৫৮),ঢাকা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ধামরাই পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সানাউল হক সুজন(৪৫),ধামরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান(৪২)নবযুগ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম(৩০)ও ছাত্রলীগ নেতা আহাদ হোসেন(৩২),আটকের বিষয় পুলিশ সুত্রে জানা যায়,বিগত ২০২৪ইং সালের ৫ইআগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ধামরাইয়ের হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল ও কলেজ গেটের সামনে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।এ সময় কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ(১৮)নামক এক ছাত্র মাথায় গুলিবিদ্ধ হন।পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ৮ই আগস্ট ২০২৪ইং সকালে তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় নিহত সাদের নানা আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে গত ২১শে আগস্ট ২০২৪ইং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৮২ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।তাছাড়া এ মামলায় আরও ৮০-৯০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।আটককৃতরা এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।মামলার পর থেকে তারা পলাতক ছিলেন।এদিকে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন,কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীনগর ডিওএইচএস আবাসিক এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।মঙ্গলবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়ঃ ০১:০০ মিনিট
৭ই অক্টোবর ২০২৫ইং
ডিএসইআর,