
স্টাফ রিপোর্টারঃ
গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট(ভিপি)পদে প্রার্থী হয়েছেন রাকিব মুসল্লি।সাধারণ শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা করছেন,তিনি নির্বাচিত হলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ আবারও নির্বিঘ্নে ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ পাবে।২০২৪ইং সালের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখেপড়েন রাকিব মুসল্লি।পরবর্তীতেচছাত্রদের আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অথচ সেই সময় ছাত্রলীগ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন রাকিব মুসল্লি।পরে কৌশলে রাকিব মুসল্লী সাভার উপজেলা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন কমিটির যুগ্ন আহবায়কের পদ বাগিয়ে নেন।যা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও তার রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ও কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।শিক্ষার্থীরা বলছেন,আন্দোলনের সময় যারা সরাসরি বিরোধিতা করেছে,তাদের ঘনিষ্ঠ একজনকে এখন ছাত্র সংসদের ভিপি পদে দাঁড়ানো প্রমাণ করে যে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব আবারও বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতিতে প্রবেশের চেষ্টা করছে।তাছাড়া অভিযোগ রয়েছে,নিরপেক্ষ শিক্ষার্থীর মুখোশ পরে রাকিব মুসল্লি ধীরে ধীরে নেতৃত্বে প্রবেশ করেছেন।বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটিতে তার নাম ঘোষণার পরই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।এখন ভিপি প্রার্থী হওয়ায় সেই ক্ষোভ নতুনভাবে জেগে উঠে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে।একজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন,তিনি ভিপি নির্বাচিত হলে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে ফিরে আসবে—এটাই সবচেয়ে বড় আতংকের কারণ।আন্দোলনকে যাদের হাতিয়ার বানিয়ে আমাদের দমন করা হয়েছিল,সেই দোসরের নেতৃত্বে আমরা কোনো বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে চাই না।অনেক শিক্ষার্থীর মতে,যদি রাকিব মুসল্লি নির্বাচিত হন তবে ছাত্র সংসদ ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে এবং নিরপেক্ষ পরিবেশ নষ্ট হবে।এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার পরিবর্তে ছাত্র সংসদ পরিণত হবে ছাত্র লীগের হাতিয়ার হিসেবে।গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি নির্বাচন ঘিরে তাই এখন মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু রাকিব মুসল্লি ।শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এই নির্বাচন শুধুএকট পদ নয়,বরং পরীক্ষা যে ক্যাম্পাস কি সত্যিই দোসর থেকে মুক্ত থাকবে,নাকি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পুনঃপ্রবেশ ঘটবে বলে জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়:০২:১০ মিনিট
২২শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং
জেএসএএন