স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাভারের নয়ারহাট এলাকায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)মোঃ মাহবুবুর রহমান।গত(২ই নভেম্বর ২০২৫ইং)রবিবার বিকেলে সরেজমিনে পরিদর্শন কালে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের দায়ে কাজ বন্ধের নির্দেশনা দেন তিনি।এদিকে স্থানীয়রা এলাকাবাসীর অভিযোগ,সাভার সাভার উপজেলাধীন নয়ারহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজারের ভেতর দিয়ে চাকলগ্রাম তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত রাস্তার কাজে নিম্নমানের ইট,বালু ও নিন্মমানের ইট দিয়ে কাজ করছিলেন ঠিকাদার মোঃ মিরাজহোসেনের মালিকানাধীন মুরাদ এন্টারপ্রাইজের লোকজন।তবে রাস্তার কাজের দায়িত্বে থাকা আব্দুল কুদ্দুছ বলেন,আমি বরিশাল থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সাব কন্ট্রাক্টে কাজ করছি।এখানে ব্যবহার করা জিনিসগুলো বৃষ্টিতে সামান্য নষ্ট হয়ে গেছে,তাছাড়া তিনি দাবী করেন,রাস্তায় ব্যবহার করা ইটগুলো এক নাম্বার বলে দাবি করেন।এদিকে স্থানীয়সুত্রে জানা যায়,নিন্মমানের ইট,বালু,রাবিশ দিয়ে কাজ করায় এখনি রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে।আমাদের ট্যাক্সের টাকায় নির্মাণ করা রাস্তায় অনিয়মের কারণে ৩ মাস যাওয়ার আগেই তা নষ্ট হয়ে যায়,এর জন্য দীর্ঘদিন ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ চলাচলরত জনগণকে।এলাকাবাসী দাবী জানান,এই ধরনের অনিয়ম করে কাজ করে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনেকঠোর শাস্তি প্রধান করা হোক।এবিষয়ে মুক্তিযুদ্ধা আওলাদ হোসেন বলেন, নির্মাণাধীন রাস্তাটির অপরপ্রান্তে ৭ দিন আগে ঢালাই করা হয়েছে।কোন পানি না দিয়ে শুধু ঝুট বিছিয়ে রাখায় সেখানে ফাটল দেখা দিয়েছে।এই ধরনের অনিয়মকারী ঠিকাদারের লাইসেন্স বাতিলসহ জামানত বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান।তাছাড়া দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাককে ম্যানেজ করে সাবকন্ট্রাক্টর নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে।এর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজে কোন নজরদারি করছে না আব্দুর রাজ্জাক।কমিশন খেয়ে কাজের দেখভাল না করায় ঠিকাদার নয়-ছয় করার সুযোগ পেয়েছে।ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোঃ মিরাজ হোসেন বলেন, আমরা প্রথমে পুরাতন ইট দিয়ে কাজ করায় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।এখন নতুন ইট দিয়ে কাজ করছি তবুও স্থানীয়রা কাজের মান খারাপ হওয়ার অভিযোগ করছেন।ইউএনও যদি কাজ বন্ধ করে দেয় তাহলে আমরা আর কাজ করবো না।অনিয়ম ও নিন্মমানের সামগ্রী দ্বারায় পাওয়া অভিযোগের বিষয় সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন,নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার অভিযোগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।তাছাড়া ঠিকাদারের লোকজনকে তাদের কাগজপত্র নিয়ে উপজেলায় আসতে বলেছি।বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়ঃ ০৪:১০ মিনিট
৩ই নভেম্বর ২০২৫ইং
এনএসইওএফ