
শাহাদাৎ হোসেন সরকারঃ
সাভার বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে জাল লাইসেন্স সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে অফিস সহকারী মাকসুদা সুলতানার বিরুদ্ধে।এছাড়াও এঘটনায় অভিযুক্ত নাম উঠে আসে বিআরটিএ’র অফিস সহকারী মাকসুদা সুলতানার সহযোগী দালাল চক্রের অন্যতম সদস্য মোমিন,ও ইব্রাহিমের নাম।এদিকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী মোঃ হাসান মিয়া জানান,সরকারি ফি পরিশোধ না করে তিনি অফিসের এক কর্মচারীর পরামর্শে ইব্রাহিম নামক এক দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।তিনি বলেন,অফিসের এক আপা (অফিস সহকারী)বললেন,ইব্রাহিমের সাথে কথা বলতে।উনি ১২ হাজার টাকা নিলেন,একটা মানি রিসিট দিলেন ,আর একটা রানার কার্ড।বললেন লাইসেন্স হয়ে যাবে।কিন্তু এত বছরেও হলো না।পরে পুলিশ বলল,এইটা জাল ।এবিষয়ে সরজমিন তথ্য অনুযায়ী জানা যায়,ট্রাফিক পুলিশের যাচাইয়ে হাসান মিয়ার দেওয়া রানার কার্ডটি জাল প্রমাণিত হওয়ার তাতক্ষনিক ভাবে তার বিরুদ্ধে ৫ হাজার টাকার একটি মামলা দায়ের করা হয়।এবিষয়ে বিআরটিএ’র এক দালাল চক্রের সদস্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান,অফিস সহকারী মাকসুদা সুলতানা সহ তার দালাল চক্রের হাতে আরও অন্তত ছয়জন জাল লাইসেন্স প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে জানান তিনি।তাছাড়া ভুক্তভোগী প্রত্যেকেই মাকসুদা সুলতানা এবং দালাল চক্রের সদস্য ইব্রাহিমের মাধ্যমে জাল ড্রাইভিং রানার কার্ড পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।তবে অভিযোগের মুখে অফিস সহকারী মাকসুদা সুলতানা প্রাথমিকভাবে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন যে রানার কার্ডটি”সঠিক”ছিল না।তবে বিআরটিএ অফিস সূত্রে জানা গেছে,এর আগেও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ ছিল এবং সে কারণে তাকে একাধিকবার বদলি করা হয়েছিল। রহস্যজনকভাবে তিনি আবারও সাভার অফিসে পুনরায় পদায়ন পান।এবিষয়ে সাভার বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন,যদি কেউ প্রতারণার শিকার হন,সঙ্গে সঙ্গে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি(জিডি)করুন।আমরা প্রশাসনিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন উল্লেখিত বলে,দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।অন্যদিকে,একজন সরকারি কর্মচারী দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হলে তা তাতক্ষনিক ভাবে প্রমাণিত হলে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) আইনের আওতায় বিচারযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।এদিকে প্রতারণার শিকার একাধিক ভুক্তভোগীদের দাবি, প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রতারিতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।সাভার বিআরটিএ-তে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের নামে এমন প্রতারণা বন্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।অন্যথায়,সাধারণ মানুষ ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদের সম্মুখীন হতে পারে বলে জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১২:১৫ মিনিট।
২৪শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং
বিএসএনআর,